Saturday 8 March 2014

ছেলেবেলার ভালোলাগা নিবন্ধ (মোঃ ভাঃ): লেখকের রং তুলি (সৈয়দ মুজতবা আলী)


ছেলেবেলার ভালোলাগা নিবন্ধ

রুশ ছোটগল্পকার আন্টন প্যাভলোভিচ চেখফ
লেখকের রং তুলি
সৈয়দ মুজতবা আলী

কেউ গল্প লেখে, কেউ কবিতা রচনা করে, কেউ নাচে, কেউ বা গান গায়। কেন?
তোমাদের কেউ কেউ হয়তো বলবে, আনন্দ পায় বলে। কথাটা অনেক স্থলে সত্য, আবার কোনো কোনো জায়গায় খাটে না। পৃথিবীতে একাধিক মহান সৃষ্টিকর্তা দেখা দিয়েছেন, যারা অর্থাগম হওয়ার পর আর লেখেননি কিংবা সংগীত রচনা করেননি। তাঁদের জিজ্ঞেস করে জানা গিয়েছে, তারা ঐ সব কর্মে আনন্দ পান না।
তবে কি লোকে টাকার জন্য লেখে? উত্তরে বলব, বিস্তর লোক সুদ্ধ-মাত্র টাকার জন্যই লেখে। জানিনে, তোমরা রুশ ছোট গল্প লেখক চেখফের নাম শুনেছ কি না। আমার মতে তিনজন লোক পৃথিবীতে সার্থক ছোট গল্প লিখে গিয়েছেন। ফ্রান্সের মপার্স, রুশের চেখফ এবং বাঙলার রবীন্দ্রনাথ। ক্লাস এইট নাইনে যারা পড়ো, তারা অনায়াসেই চেখফের ইংরিজি অনুবাদ পড়া শুরু করে দিতে পারো। ইনি যে স্টাইলে ছোট গল্প লিখে গেছেন তার দশ ভাগের এক ভাগও নকল করতে পারলে দেশে নাম করে ফেলতে পারবে।
গ্রামের হাই স্কুল পাস করে চেখফ শহরে আসেন মেডিকেল কলেজে পড়তে। কিছুদিন পরে সম্পূর্ণ পরিবারই এ শহরে চলে আসেন ও সবাইকে কঠিন অর্থকষ্টের সম্মুখীন হতে হয়। পয়সা বাঁচাবার জন্য শীতকালে কোনো ঘরেই আগুন জ্বালানো হত না। সবাই জড়ো হত রান্না ঘরে। একদিকে মা ছ্যাঁতছ্যাঁত করে রাঁধছেন, অন্যদিকে বাবা ভালো করে পয়সা কামাতে পারেননি বলে বিরক্তিতে আপন মনে গগর করছেন, ভাই-বোনরা কিচিরমিচির করছে, এরই এক পাশে চেখফ মেডিকেল কলেজের পড়া খানিকক্ষণের জন্য ক্ষান্ত দিয়ে খসখস করে ছোট গল্প লিখে যাচ্ছেন, যেন সমস্ত কোলাহলের লেশমাত্র তার কানে যাচ্ছে না। লেখা শেষ হতেই ভাইকে বলতেন, ‘ঝপ করে যা তো অমুক সম্পাদকের আপিসে। দক্ষিণাটা যদি গরমাগরম দিয়ে দেয় তবে মোড়ের দোকান থেকে সব পয়সা দিয়ে গরম গরম সসেজ কিনে নিয়ে আসিস।’
যা পয়সা জুটতো সে এতই সামান্য যে তা দিয়ে একটি পরিবারের এক বেলাকার মত সসেজ হত না! অথচ একটি সসেজে আর মাংস থাকে কতটুকু? —আমাদের একটা কটলেটে যতখানি থাকে প্রায় ততটুকু। তবু পরিবারের ওই সামান্য সাহায্যটুকু করার জন্য চেখফ দিনের পর দিন ছোট গল্প লিখে গিয়েছেন। পরবর্তী জীবনে অবশ্য তাঁকে পয়সা কামাবার জন্য লিখতে হয়নি, কিন্তু তবু তার সব সময় মনে হত, তিনি ডাক্তার, তার উচিত রুগীর চিকিৎসা করা, সাহিত্য-সৃষ্টিতে সময় নষ্ট না করা। অথচ আজকের দিনে অনেক সেরা সাহিত্য-রসিক বলেন, ‘চেখফ রুশ সাহিত্যের সর্বশ্রেষ্ঠ লেখক তলস্তয়কে হিসেবে নিলেও এবং পৃথিবীরও সর্বশ্রেষ্ঠ গল্প লেখক।
ওদিকে ভুবন-বিখ্যাত ইতালির সুরস্রষ্টা রসসীনী একুশ বৎসর বয়সেই সমস্ত ইতালিতে এত বিখ্যাত হয়ে গিয়েছেন যে আদালতের ভিতর পর্যন্ত উকিল-মক্কেল তার সুর গাওয়ায় জজ সাহেবকে পর্যন্ত সেটা ধমক দিয়ে বন্ধ করতে হত। একত্রিশ বছর বয়সে লণ্ডনে এসে পাঁচ মাস থেকেই তিনি রাজা চতুর্থ জর্জের কাছ থেকে সাত হাজার পাউন্ড পান প্রায় লাখ টাকা! সেই যুগে।
তাঁর বয়স যখন বত্রিশ তখন তিনি তাঁর খ্যাতির মধ্যগগনে এবং অর্থাগম অজস্র। সেই যে তিনি সুর রচনা বন্ধ করলেন তারপর দীর্ঘ চল্লিশ বছর ধরে আর কিছু করেননি। সন্ধ্যার সময় বাড়ি থেকে বেরিয়ে এ-কাফে সে-রেস্তোরা করে করে বাড়ি ফিরতেন গভীর রাতে। ওসব জায়গায় দেখা হত ফরাসী দেশের তখনকার সর্বশ্রেষ্ঠ ঔপন্যাসিক তেয়োফিল গতিয়ে-র সঙ্গে, সে যুগে জর্মানির সর্বশ্রেষ্ঠ কবি হাইনরিষ হাইনের সঙ্গে। তারা গাল-গল্প করতেন, তিনি চুপ করে শুনে যেতেন। শেষের দিকে প্যারিসে তার বাড়ি দেশী-বিদেশী গুণী জ্ঞানী সমাগমের প্রায় কেন্দ্রভূমি হয়ে দাড়িয়েছিল।
ঐ সময় রসসীনীর স্বভাব বড়ই খুঁতখুঁতে হয়ে গিয়েছিল এবং প্রায়ই তাকে বাঁকা-বাঁকা কথা বলতে শোনা যেত। তাই শপথ নিয়ে বলা শক্ত, কোনটা তাঁর খাঁটি মনের কথা আর কোনটা ক্ষণিক অসহিষ্ণুতা-প্রসূত। তবে একটি কথা তাকে একাধিকবার মহা আড়ম্বরের সঙ্গে বলতে শোনা গেছে, এবং তার ভাবখানা এই, ‘রেখে দিন মশাই, ওইসব সংগীতসৃষ্টি, রসসৃষ্টির বড় বড় কথা। আমার ছিল টাকার দরকার। আর ঐ সংগীত ছাড়া অন্য কোনও কিছু দিয়ে পয়সা কামাবার চেষ্টা করলে একটি কানাকড়িরও টিকিটি দেখতে পেতুম না। এখন পয়সা কামিয়ে নিয়েছি, কি হবে আর ওসব সংগীত-টংগীত সৃষ্টি করে?’
অতএব দেখা গেল, এমন লোকও আছেন যাঁরা নিছক পয়সা কামাবার জন্যই সংগীত কিংবা সাহিত্য-সৃষ্টির কর্মে নামেন।
কিন্তু এইখানেই এই বেলাই তোমাদের সাবধান করে দিচ্ছি, নিছক পয়সা কামাবার উদ্দেশ্য নিয়ে সাহিত্য-রচনাতে নেমো না। কতশত লোক লেখক হওয়ার চেষ্টা করার পর মাত্র একজন লেখক জনপ্রিয় হয়, অর্থাৎ বাজারে তার বই বিক্রি হয়, এর হিসেব এখনও কেউ ঠিকমত দিতে পারেননি। জর্মানির মত উন্নত দেশে ছবির বেলা জানা গিয়েছে, মোটামুটি এক হাজার নবীন চিত্রকরের ভিতর শেষ পর্যন্ত একজনের ছবি বিক্রি হয়। বাকীরা অন্য কাজ-কর্মে ঢুকে যায়।
অতএব সাহিত্য, সংগীত, চিত্র সৃষ্টি করে বেশ দু’পয়সা কামাবার চেষ্টা করার চেয়ে লটারির টিকিট কেনা ভালো। আর টিকিট কাটাতে মেহনতও কম।
এর পর আছেন আরেক দল লেখক যারা লেখেন নিজেদের তিক্ত কিংবা মধুর অভিজ্ঞতা পাঠককে শোনাবার জন্য। এটাও অত্যন্ত স্বাভাবিক প্রবৃত্তি। দৈনন্দিন জীবনে কোনও একটা বিচিত্র অভিজ্ঞতা হলে আমরা আত্মীয়স্বজন বন্ধুবান্ধবকে সেটা শোনাতে চাই। কোনও কোনও লোক তাতেও সন্তুষ্ট না হয়ে বৃহত্তর জগৎকে শোনাতে চায়। তখন তারা বই লেখে।
এ ধরনের সাহিত্যসৃষ্টির প্রচেষ্টা ছ’ সাত বছরের বাচ্চাদের ভিতরও দেখা যায়।
এই সুবাদে একটি ঘটনার কথা মনে পড়ল।
রবীন্দ্রনাথের জন্ম শতাব্দী চলছে। তিনিই সেটি আমাদের বলেছিলেন। আমি তখন তার ছাত্র; বয়েস এই পনেরো ষোলো।
উত্তম সংগীত শুনে ভালো গল্প পড়ে আমাদের মনে আনন্দ রসের সৃষ্টি হয়। সেটা কি, কেন হয়, কি প্রকারে হয়, এ সম্বন্ধে রবীন্দ্রনাথ বক্তৃতা দেবেন। তিনি এসে যা বললেন তার সারমর্ম এই:
‘আজ এখানে আসার সময় দেখলুম, শিশুবিভাগের হস্টেলের দরজার উপর কে যেন খড়ি দিয়ে লিখেছে, “অনিল গাধা।” যে কোনও কারণেই হোক অনিলের উপর লেখকের রাগ হয়েছে এবং সেইটে সে প্রকাশ করে আর পাঁচ জনকে শোনাতে চায়। তার রাগের অনুভূতিটাই এখানে বড় কথা। কারণ এ কথা কেউ লেখে না, “অনিল চার ফুট ছ’ ইঞ্চি লম্বা” কিংবা “অনিলের বয়েস আট।” কারণ সেখানে কোনও অনুভূতি মাথা চাড়া দিয়ে খাড়া হয়ে ওঠেনি।’
‘অনিল গাধা’ এটা সাহিত্যসৃষ্টি, কিন্তু অত্যন্ত নিম্নস্তরের। কারণ এটা পড়ে সবাই যে অনিলের উপর খাপ্পা হয়ে উঠবে এ আশা করা যায় না। অর্থাৎ যাকে বলছে, তারও মনে যদি রাগের উদয় না হয় তবে সার্থক সাহিত্য সৃষ্টি হল না। নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছ, কোনও কোনও বদরসিক রসিকতার গল্প বলতে বলতে নিজেই হেসে কুটি কুটি হচ্ছে, আর-সবই গম্ভীর মুখে কেউ জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে আছে, কেউ বা এটা ওটা নাড়াচাড়া করছে। অর্থাৎ আমাদের বদসিক সাহিত্য সৃষ্টি করতে জানে না।
ইস্কুলে মাস্টার মশাই প্রায়ই আমাদের সাজা দেন। বাড়িতে এসে মা–মাসীকে বলেও অনেক সময় সহানুভূতি পাইনে। এবং মাঝে মাঝে এটাও শুনতে হয়, খুব হয়েছে, বেশ হয়েছে। তখন বেদনাটা তিন ডবল বেড়ে গিয়ে বুকে যেন মোচড় মারে। কিন্তু নীচের কবিতাটি দু’বার পড়ো। রবীন্দ্রনাথেরই লেখা:
“সাত-আটটে সাতাশ,” আমি
বলেছিলেম বলে
গুরুমশায় আমার 'পরে
উঠল রাগে জ্বলে।
মা গো, তুমি পাঁচ পয়সায়
এবার রথের দিনে
সেই যে রঙিন পুতুলখানি
আপনি দিলে কিনে
খাতার নীচে ছিল ঢাকা;
দেখালে এক ছেলে,
গুরুমশায় রেগেমেগে
ভেঙে দিলেন ফেলে।
বললেন, “তোর দিনরাত্তির
কেবল যত খেলা।
একটুও তোর মন বসে না।
পড়াশুনোর বেলা!”
মা গো, আমি জানাই কাকে ?
ওঁর কি গুরু আছে ?
আমি যদি নালিশ করি
এখনি তার কাছে ?
কোনোরকম খেলার পুতুল।
নেই কি, মা, ওঁর ঘরে?
সত্যি কি ওঁর একটুও মন
নেই পুতুলের 'পরে?
সকাল সাজে তাদের নিয়ে
করতে গিয়ে খেলা
কোনো পড়ায় করেন নি
কোনো রকম হেলা?
ওঁর যদি সেই পুতুল নিয়ে
ভাঙেন কেহ রাগে,
বল দেখি, মা, ওঁর মনে তা
কেমনতরো লাগে?

‘কেমনতরো লাগবে? কোনো সন্দেহ নেই, কবিতাটি পড়ে যে-কোনও লোকের হৃদয়ে বাচ্চাটির প্রতি সহানুভূতি জাগবে এবং নিশ্চয়ই গুরুমশায়ের প্রতি কিঞ্চিৎ আক্রোশ জন্মাবে। আমরা কি জানিনে অন্তত তা জানলে এখন তো হৃদয়ংগম হল যে, আমাদের সকলেরই আপন আপন পুতুল আছে।
তোমার বয়েস ষোল, তোমার পুতুল হয় তো তোমার টেনিস র‍্যাকেটখানা। আমার বয়েস আরও বেশী হয়েছে, আমার পুতুল রবীন্দ্রনাথের একথানা প্রথম সংস্করণ কেউ ছুঁতে চাইলে মার মার করে হেঁকে উঠি।
এর সঙ্গে আরেকটি জিনিস মাঝে মাঝে বিজড়িত থাকে।
মনে করে, তোমার পাশের বাড়িতে এক অতি গরিব পরিবার বাস করে। তাদের একটি মেয়ে—দেখতে সুশ্রী নয়, কিছুতেই বিয়ে হচ্ছে না। বাড়ির সকলের তাই নিয়ে দুশ্চিন্তার অবধি-নেই। মেয়েটি সব বোঝে, সে যে বাড়ির বোঝা সেটা অতি নির্মমভাবে প্রতিক্ষণে হৃদয়ংগম করে। দিন দিন সে শুকিয়ে যাচ্ছে তোমারই চোখের সামনে।
সমাজের এই অবিচার তোমার মনকে ব্যথিত করলো। তুমি যে শুধু তার করুণ কাহিনী লিখলে তাই নয়। তুমি হয় ইঙ্গিতে, নয় স্পষ্ট ভাষায় তোমার বইয়েতে বেশ বুঝিয়ে দিলে এরকম সমাজব্যবস্থা তোমার মনঃপূত নয়। তুমি তার আমুল পরিবর্তন চাও। এবং তোমার পাঠককেও তুমি এই মর্মে উত্তেজিত করলে। আমার বক্তব্য স্পষ্টতর করার জন্য অনুরোধ করছি, শরৎচন্দ্রের ‘অরক্ষণীয়া’ বইখানি পড়ো বুঝতে পারবে সার্থক সাহিত্যিক কিভাবে সমাজসংস্কারক হতে পারে। তাই অনেকে বলেন, ‘তলোয়ারের চেয়ে কলম শক্তিশালী।
কিন্তু অনেকখানি নির্ভর করছে তোমার বলার ধরনের উপর। গুরুমশায়ের কাছে সাজা পেয়ে তুমি যখন মা-মাসীকে বলেছিলে তখন তারা সহানুভূতি দেখাননি কিন্তু রবীন্দ্রনাথের কবিতাটি সহানুভূতি জাগালো কেন? তার প্রধান কারণ রবীন্দ্রনাথের বলার ভঙ্গীটি এমনই অপূর্ব, অদ্বিতীয় যে আমাদের হৃদয়মন সঙ্গে সঙ্গে সাড়া দিয়ে ওঠে।
একটুখানি চিন্তা করলেই দেখতে পাবে, আমাদের দৈনন্দিন অভিজ্ঞতায় খুব বেশী একটা নূতনত্ব থাকে না। কোনও ছেলে অল্প বয়সে মাকে হারালো, কোনও ছেলে বড় গরিব, কোনও ছেলে প্রচুর চেষ্টা করেও পরীক্ষা পাস করতে পারে না, কোনও বিধবার একটিমাত্র ছেলে জলে ডুবে মারা গেল এসব কিছু নূতন জিনিস নয়, কিন্তু তুমি যদি সেই চিরন্তন প্রাচীন জিনিসই নূতন ভঙ্গীতে বলতে পারো তবেই পাঠক তোমার লেখা পড়বে, অত্যুত্তম বলে প্রশংসা করবে।
এই বলার ভঙ্গীকে ইংরেজীতে বলে স্টাইল। স্টাইল আবার অনেকখানি নির্ভর করে ভাষার উপর।
কুড়ি একুশের আগে অল্প লোকই সাহিত্যে নাম করতে পেরেছেন। তার প্রধান কারণ অভিজ্ঞতার অভাব এবং তার চেয়েও বড় কারণ ভাষার উপর দখল আসতে আসতে বেশ কিছুটা সময় লাগে। তোমার উপন্যাসে যদি লক্ষপতি থাকেন, পণ্ডিত থাকেন, ওস্তাদ গাওয়াইয়া থাকেন, ঝি-চাকর থাকে তবে স্পষ্টই দেখতে পারছো এরা সকলেই এক ভাষায় কথা বলেন না ভিন্ন ভিন্ন ভাষা ব্যবহার করেন। এমন কি তোমার উপন্যাসে যদি দেশ হতে সদ্যাগত বিহারী দারওয়ান থাকে তবে তার খিচুড়ি বাঙলাও তোমাকে রপ্ত করতে হবে।
কাজেই একদিন সাহিত্যিক হবার বাসনা যদি তোমার থাকে তবে এই বেলা ভাষার দিকে মন দাও। বড় বড় লেখকরা, বিশেষ করে সেই সব সার্থক লেখক যাদের তুমি ব্যক্তিগত ভাবে ভালোবাস, তারা কার মুখে কি ভাষা দিয়েছেন সেইটে মন দিয়ে পড়ে, পারলে কিছুটা মুখস্থ করে নিয়ো।
তারপর অভিজ্ঞতা যেদিন আসবে, সেদিন আমরা দেখবো, তুমি ‘তৈরী ছেলে’, অর্থাৎ ভাষা হাতে নিয়ে তুমি ‘তৈরী ছিলে’।

4 comments:

  1. Dadabhai no bole ze pancake shroddha Janabo, vebe paina. Aponar protiti lekha eto tothye somrridho, r,valo lagar moto kore lekha bole bojhate parchina. Ami seguli theke onek tothyo tuke rakhi, pore zeno kaje lagate pari. Nomoskar aponar ei osadharan khamatake.

    ReplyDelete